চন্ডীদাস ও বাশুলী (বিশালাক্ষী)-
বৈষ্ণব ধর্মে বিল্বমঙ্গল, জয়দেব, চন্ডীদাস,বিদ্যাপতি এবং কবি রায়শেখর এই পাঁচজন রসিক নামে পরিচিত. এই পদে রসিক নগর বলতে সম্ববত চন্ডীদাসের গ্রাম নানুরকেই বোঝানো হয়েছে. কাজেই বাশুলি বা বিশালক্ষীকে না জেনে নানুরের মহাকবি চন্ডীদাসের আলোচনা নিরর্থক. বিশালক্ষী নানুর গ্রামবাসীগন দ্বারা গ্রাম্য দেবতা হিসাবে পূজিত হয়ে আসছেন. কিন্তু বাশুলী কিভাবে বিশালক্ষী হয়েছেন তা নিয়ে পন্ডিতদের মধ্যে মতভেদ দেখা দেয়. সে সকল মতান্তরের মীমাংসা আমাদের পক্ষে করা সম্ভব নয়. তবে আমাদের মনে হয় চন্ডীদাসের পরবর্তীকালে যখন বাশুলি কে ধ্বংসস্তূপ হতে উদ্ধার করা হয় তখন গ্রামবাসীগন সেই দেবীর সঠিক নাম জানতেন না. বাশুলী মুর্ত্তী, সরস্বতী মুর্ত্তী তাই সরস্বতীর অন্য নাম বিশালক্ষী দিয়ে দেবীর পূজা করেন. নারায়নের নাভীকুন্ড হতে উথ্থিত পদ্মের উপর উপবিষ্টা বিশালক্ষী দেবী চর্তুভূজা. ত্রিহস্তে বীণা এবং অপর হস্তে জপমালা ধারণকারীণী দেবী বিশালক্ষী আজও এতদঞ্চলের মানুষের প্রাণস্বরুপ. বিশালক্ষী দেবী তান্ত্রিক দেবী. চন্ডীদাসের পিতা তান্ত্রিক মতে দেবীর পূজা করেন. পরে তিনি ঐ দেবীর আদেশেই বৈষ্ণব মতে পূজা প্রচলন করেন. বিশালক্ষী দেবীর আর্শীবাদ পুষ্ট হয়ে তারই আদেশে রামীকে সাধন সঙ্গীনী হিসাবে গ্রহন করেন ভক্ত সাধক চন্ডীদাস মহাকবি চন্ডীদাস রুপে পুজিত হলেন. একই অর্থে কালিদাসের মতোই চন্ডীদাসকে বিশানক্ষীর বরপুত্র বলা যেতে পারে.                                
শ্রী শ্রী বিশালক্ষীর দেবীর ধ্যান 
"ওঁ ধ্যায়েদ্দেবীং বিশালক্ষীং শারদ বদনং চতুর্ভূজং,
ত্রি হস্তে বীনাশ্চন্ডিকাং একহস্তে জপয়িনী
বামপদ পদ্মাসনে দক্ষিণোপদ শিবোপরি
ওঁ হ্রীং বিশালক্ষী দেব্যাং নম: "

Sign by Danasoft - For Backgrounds and Layouts